নিজস্ব প্রতিবেদক।। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-১৯ (সাভার ও আশুলিয়া) আসনে নিজ দলের মনোনয়ন চান আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের হয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা প্রকাশ করেন।তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার হয়েও কাজ করার কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ও পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আ.লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এছাড়া আ.লীগের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন। কেনো নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আ.লীগ থেকে ঢাকা-১৯ আসনের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাভার পৌরসভা ও সাভারের তিনটি ইউনিয়ন এবং আশুলিয়া থানা এলাকার পাঁচটি ইউনিয়ন মিলে ঢাকা-১৯ সংসদীয় এলাকা।
এই আসনে সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন মিলে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার। অন্যদিকে, আশুলিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার। তার মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমাদের এই অঞ্চলটি শিল্প অঞ্চল।
প্রতিবার বিএনপির প্রার্থী এই অঞ্চল থেকেই হয়। আমি মনে করি আ.লীগের প্রার্থী যদি আশুলিয়া থানা থেকে দেওয়া হয়। তবে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন হবে। আর আমাকে আ.লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির যে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচন করে আমি জয়ী হতে পারবো। আমার ওপর আমাদের নেত্রীবৃন্দদের আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন,সাভার আশুলিয়ার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। উন্নয়নের পরিবর্তন আমি নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরেই আমূল পরিবর্তন আপনারা লক্ষ্য করবেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক একটি সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগিতা থাকে এটিই স্বাভাবিক। প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্য বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন।
যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাবো। প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন,বয়সে নবীন কিংবা প্রবীণের ওপরে সংসদ সদস্য হওয়া নির্ভর করে না। যার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে দল তাকেই মনোনয়ন দেবেন। বাংলাদেশে একঝাঁক তরুণ বয়সে নবীন সংস সদস্য ইতিমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ। নবীন এবং প্রবীণের সমন্বয়ে সংসদ পরিচালিত হয়। মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি পরপর দুইবার নির্বাচিত জনবহুল স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/রাজু